আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, কুমিল্লা এর আয়োজনে এবং ‘উদ্যানতাত্তি¡ক ফসলের গবেষণা জোরদারকরণ এবং এর এলাকায় উদ্যান ও মাঠ ফসলের প্রযুক্তি বিস্তার প্রকল্প’ এর আর্থিক সহযোগীতায়, বারি, কুমিল্লা এর হল রুমে ১১/০৩/২০২১ তারিখে '''Workshop on Introduction to promising Horticultural Technologies of BARI Varieties and Agro-techniques'' বিষয়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন- সনদ কুমার সাহা, সাবেক অতিরিক্ত সচিব, কৃষি মন্ত্রণালয়। সভাপতিত্ত¡ করেন- ড. মো. উবায়দুল্লাহ কায়ছার, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, বারি, কুমিল্লা। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন-; ড. কবিতা আঞ্জুমান আরা, পরিচালক, কন্দাল ফসল গবেষণা কেন্দ্র, বিএআরআই, গাজীপুর; কৃষিবিদ মো. আমিনুল ইসলাম, অতিরিক্ত পরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই), কুমিল্লা অঞ্চল। কৃষিবিদ মো. মঞ্জুরুল হুদা, অতিরিক্ত পরিচালক, ডিএই, চট্টগ্রাম অঞ্চল; মূল প্রবন্ধ ও প্রকল্পের কার্যক্রম উপস্থাপন করেন-ড. মো. আবু তাহের মাসুদ, প্রকল্প পরিচালক, ‘উদ্যানতাত্তি¡ক ফসলের গবেষণা জোরদারকরণ এবং এর এলাকায় উদ্যান ও মাঠ ফসলের প্রযুক্তি বিস্তার প্রকল্প’ । সঞ্চালনা করেন- কৃষিবিদ শামীমা সুলতানা, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, বারি, কুমিল্লা। কর্মশালা অনুষ্ঠানে বিজ্ঞানীরা বলেন- আধুনিক প্রযুক্তির প্রসার ঘটিয়ে, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউ কর্তৃক ফল, ফুল ও শাক-সবজির অধিক ফলনশীল ও রোগ প্রতিরোধী জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে। কৃষকরা এসব জাতের ফসল চাষ করলে অল্প খরচেই অধিক মুনাফা অর্জন করতে পারবে। এতে করে দেশের সর্বস্তরের মানুষের খাদ্য ও পুষ্টির চাহিদা সহজেই মিটে যাবে। বিশেষ করে পাকা টমেটোর মধ্যে ক্যান্সার প্রতিরোধী লাইকোপেন নামক উপাদানটি মানব দেহে পুরোপুরিভাবে কাজ করে যদি তা সঠিক নিয়মে রান্না করে খাওয়া হয়। রঙিন শাক-সবজিতে এন্টিক্্িরডেন্ট থাকায় শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে বিধায় এসব ফসল আবাদ বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করা হয়। উচ্চ ফলনশীল ফল ও শাকসবজির বীজ কৃষকরা যেন সহজ উপায়ে পেতে পারে তা গুরুত্বের সাথে কর্মপরিকল্পনায় যুক্ত করা হবে বলে আলোচনা করা হয়।